লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার এটি বহুল আলোচিত ও প্রাচীনতম ইউনিয়ন । জানা যায়, ভুলুয়া রাজা রুদ্র মানিক্যের স্ত্রী রাণী শশীমুখী নর নারায়ণ নামক জনৈক ব্রাক্ষ্ণণ কর্মচারীর সাহায্যে জমিদারী পরিচালনা করতেন । তৎকালীন সময় ঐ জমিদারীত্বের অংশ দেখবাল করার জন্য শ্রী শ্রী রাজা কৈলাশ কান্তী দত্ত- কে প্রেরণ করেণ । জৈনক লক্ষ্মী রত্না ব্রামন নামক এক সুকেশা রমনীর সুন্দৌর্যে পড়ে তাকে বিবাহ করে । ঐসময়ে বাদশা কৈলাশ কান্তী দত্ত-এর জমিদারী কাজে অবহেলা করার কারণে তাকে কারাঘারে নিক্ষেপ করে। তাই জৈনক লক্ষ্মী রত্না ব্রামন তার জীবন বাঁচানোর জন্য এই অঞ্চলে এসে আশ্রয় নেয় । কিছু কাল পর জমিদার শ্রী শ্রী রাজা কৈলাশ কান্তী দত্তের কারাঘারে মৃত্যুর পরে লক্ষ্মী রত্না ব্রামন এর খোঁজ এই অঞ্চলে পায়। জমিদার কৈলাশ কান্তী দত্তের অকাল মৃত্যুর জন্য লক্ষ্মী রত্না ব্রামন-কে রাজ দরবারে ডেকে এই অঞ্চলে কিছু অংশ তাকে দত্তবাগ নামে দান করে । তার নামানুসারে কালের পরিবর্তনের সাথে সাথে বর্তমান দত্তপাড়া জন্ম হয় ।
এই অঞ্চলের মানুষ শান্তি কামী । অত্র ইউনিয়নে শিক্ষার হার প্রায় ৫৫%, এই ইউনিয়টি ৯টি ওয়ার্ডে ( ১) বড়ালিয়া। ২) গংঙ্গাশিবপুর। ৩) বড়পাড়া। ৪) বটতলী। ৫) দর্জিপাড়া। ৬)দত্তপাড়া। ৭) করইতলা। ৮) লালপুর। ৯)নরসিংহপুর। ১০) পুনিয়া নগর। ১১) রমারখিল। ১২) সৈয়দপুর। ১৩) শ্রীরামপুর।১৪) তোতারখীল। ১৫) ধন্যপুর- মোট ১৫ টি ছোট বড় গ্রাম, ১টি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র এবং ১টি ডাকঘর নিয়ে এই ইউনিয়ন গঠিত।
গ্রামগুলোর অধিকাংশ মানুষ পেশায় কৃষি কাজ করে। এছাড়া ও কিছু মানুষ শিক্ষকতা, ব্যবসা, সরকারী চাকুরি, দিনমুজুর ইত্যাদি পেশায় নিয়োজিত আছেন। কৃষকরা বেশিরভাগ ঋতু কালীন ফসল ফলিয়ে জিবিকা নির্বাহ করেন। যেমন, ধান, পাট, ইত্যাদি। আর সবজি চাষের মধ্যে প্রধান হলো শসা। অত্র ইউনিয়নে উৎপাদিত শসা দেশের বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি করেন। আগে অত্র ইউনিয়নে শিক্ষিতের হার কম থাকলে ও বর্তমানে শিক্ষার হার দিন দিন বাড়ছে।
ভাষা গত দিক থেকে অত্র অঞ্চলের মানুষ নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষাই ব্যবহার করে থাকেন। তবে আঞ্চলিক ভাষার ক্ষেত্রে শব্দের শেষ অক্ষরটি একটু টান দিয়ে উচ্চারণ করে ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস