আচলেঁ মেঘনার মায়া ডাকতিয়া বুকে রহমত খালী বয়ে চলে মৃদু একে বেঁকে
নারিকেল সুপারী আর ধানে ভরপুর আমাদের আবাস ভুমি প্রিয় লক্ষ্মীপুর।
অত্র উপজেলার মানুষ বাংলাভাষী।
লক্ষ্মীপুর-নোয়াখালী অঞ্চলের ভাষার বৈশিষ্ট্য একই রকম, একই সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে অবস্থিত বলে এর লোক সংস্কৃতি, লোক ঐতিহ্য, লোকক্রীড়া আচার অনুষ্ঠান প্রায় একই রকম। এখানকার মানুষ প ও ফ স্থলে “হ” উচ্চারন করে। যেমন- পানি<হানি, ফুল<হুল। আমি<আঁই।
”কলা” উচ্চারণ স্থানীয় ভাবে “কেলা” বলা হয়। ক্রিয়াপদে পুরুষ ভেদে “ছত্তি”, “ছেন্নি” উচ্চারিত হয়। “এ” স্থলে অনেক ক্ষেত্রে “অ” উচ্চারিত হয়। যেমন- এখন<অন। “মহাপ্রাণ” ব্যবহার নেই বল্লেই চলে
যেমন-গ,চ,ট,ত,প,স এর ব্যবহার বেশী। অন্যদিকে ঘ,ছ,ঠ,থ,ফ,ভ,শ এর ব্যবহার খুবই সীমিত। কোন কোন ক্ষেত্রে “ঠ” এর স্থানে “ড” উচ্চারিত হয় যেমন কাঠাল<কাঁডাল।
অঞ্চলভেদে লক্ষ্মীপুর এলাকার ভাষা ব্যবহারে কিছু ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে যারা শাহবাজপুর থেকে লক্ষ্মীপুরে বসতী গড়েছে তাদের ভাষাগত প্রভেদ সহজেই ধরা পড়ে। এছাড়া ফরিদপুর এলাকা থেকে আগত লোকদের মুখের ভাষার কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। যেমন-দক্ষিণ রায়পুর এলাকায়” বলতে পারবো না” কে উচ্চারন করে “কইতা হারতাম না”। দত্তপাড়া থেকে পূর্বদিকে বলে “হড্ডি বয়”। লক্ষ্মীপুরের অন্য এলাকায় বলে “হড়তি বয়”।
এছাড়া ও পুঁথি পাঠছাড়াও এই অঞ্চলের মানুষ বিভিন্ন উৎসবে পালাগান, বিয়ের গান, মার্ফতি গান, গোঁসা গান, খেমটা গানের আয়োজন করে থাকে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস